ঢাকা: যশোরেও কোটাবিরোধী মিছিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সরকারি এম এম কলেজ থেকে আসা একটি মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এমনকি মাসুম নামে এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে গেছে।
বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত রেখে সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১২টার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পালবাড়ি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সরকারি এম এম কলেজ থেকে আসা একটি মিছিল হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এমনকি মাসুম নামে এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে গেছে তারা।
নিপা সরকার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এম এম কলেজ থেকে ছাত্র সংগঠক মাসুমের নেতৃত্বে তারা মিছিল নিয়ে বের হন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা ছিল তাদের।
[227742]
মিছিলটি মুসলিম একাডেমি স্কুল মার্কেটের সামনে পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ থেকে ৭ জন ছাত্রলীগ কর্মী এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় মাসুমকে ধাওয়া দিয়ে গরীবশাহ মাজারের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
ফরহাদ আহমেদ অপর এক আন্দোলনকারীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। একইসঙ্গে সব ধরনের কোটার সংস্কার চান। স্কুল, কলেজ, চাকরি সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের অগ্রাধিকার দেবার দাবি তাদের। কিন্তু সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকারি এম এম কলেজ থেকে আসা একটি মিছিল হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এমনকি মাসুম নামে এক সংগঠককে ধরে নিয়ে গেছে তারা।
তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর অযৌক্তিক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। একইসঙ্গে সব ধরনের কোটার সংস্কার চান। স্কুল, কলেজ, চাকরি সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে দাবি না হওয়ায় পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
এআর