চুয়াডাঙ্গায় শিশু অপহরণকারী সন্দেহে তিন মহিলা আটক

  • চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ১০:০৯ পিএম

চুয়াডাঙ্গা: দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অপহরণকারী সন্দেহে শেফালী খাতুন (৫০), মর্জিনা খাতুন (৪৮) ও মালেকা খাতুন (৫৫) নামে তিনজন মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। 

সোমবার দুপুরে তাদেরকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। অপহরণকারী তিনজন হলো, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙেদাহ হাটখোলা পাড়ার মতিয়ারের স্ত্রী শেফালী খাতুন,  শাহাজানের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৮) ও আয়ুব ফকিরের স্ত্রী মালেকা খাতুন (৫৫)।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, সোমবার সকালে দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ২ছাত্রী রিয়া ও সারিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যেতে চাই শেফালী খাতুন, মর্জিনা খাতুন ও মালেকা খাতুন নামে  তিন নারী অপহরণকারী।

এসময় ওই শিক্ষার্থীদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ওই অপহরণকারীদেরকে ধরে ফেলে স্কুলে আটকে রাখে। পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা, দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনে উত্তেজিত জনগণকে শান্ত করে। এসময় থানা পুলিশ অপহরণকারীদেরকে হেফাজতে নেন।

[227769]

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেনের উপর চড়াও হন।  স্থানীয় বলেছেন স্কুল চলাকালীন সময়েও প্রধান শিক্ষক স্কুলের প্রধান ফটকের গেট আটকে রাখেন যার কারণে স্কুল খোলা না বন্ধ তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। তাই স্কুলে কি হচ্ছে তা তারা জানতে পারে না। 

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, আটক তিন মহিলা প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে জানিয়েছে সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙেদাহ এলাকা থেকে হাতিভাঙ্গা গ্রামে ভিক্ষা করতে আসে। এসময় হাতিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ শিশু ছাত্রী তাদের ভিক্ষা চাওয়ার ভঙ্গিতে ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। 

শিশু দুটির কান্না ও চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে ওসে ওই মহিলা ভিক্ষুকদেরকে আটকে রাখে। পরে ইউএনও স্যার, ইউপি চেয়ারম্যান সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তিন ভিক্ষুককে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। প্রাথমিক তদন্ত করে জানাগেছে তারা ভিক্ষুক। তাদের সম্পর্কে আরো খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। 

এআর