সেন্ট মার্টিনে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি: | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সমুদ্র উপকূলে ফিশিং ট্রলার ও স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুইজনের মৃতদেহ দুইদিন পর উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন নুর মোহাম্মদ সৈকত নামের আরও একজন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বড়ডেইল এলাকার সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।

মৃতরা হলেন- সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কোনারপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফাহাদ (২৮) ও মোহাম্মদ ইসমাইল (২৭)।

নিখোঁজ নুর মোহাম্মদ সৈকত (২৩) একই এলাকার ছলিম উল্লাহ’র ছেলে। তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির সহ-সভাপতি।

ওসি ওসমান গনি বলেন, ‘শামলাপুর বড়ডেইল এলাকার সাগরে দুটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়না থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে’

এর আগে বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার পথে শাহপরীর দ্বীপের অদূরে সাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে ৬ জন মাঝিমাল্লা এবং ৬ জন যাত্রী ছিলেন।

ট্রলারটি দুপুর আড়াইটার দিকে শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি স্পিড বোট সাগরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ওইদিন দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটিতে থাকা ১১ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে উদ্ধার তৎপরতার এক পর্যায়ে সাগরের প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে একটি স্পিড বোটসহ ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয় উদ্ধারকারী ফাহাদ ও ইসমাইল। এ সময় স্পিড বোটে থাকা অপর তিনজন উদ্ধারকারী আব্দুল্লাহ, আরিফ ও উত্মত আলী বুধবার রাত দশটার দিকে সাঁতরে শাহপরীরদ্বীপ ও সাবরাং উপকূল দিয়ে তীরে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছিল।

আইএ