কুমিল্লা: কুমিল্লায় বিপদসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে গোমতী নদী। কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপদ সীমার দেড় মিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। কোন জায়গায় আবার বেশি কম রয়েছে। নগরসহ জেলার সড়কগুলোতে হাটুপানি। নগরের প্রধানসড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নগরের জলাবদ্ধতায় নাকাল কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরীসহ সড়কের পাশের দোকানপাট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে।
এদিকে পানি প্রবাহ ও উচ্চতা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় নদীর পাড়ের মানুষজনকে আতংকিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর বাঁধ ঝূঁকির মুখে পড়ায় পর্যবেক্ষণে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ।
[230201]
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপদ সীমার দেড় মিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক টীম বাঁধ পর্যবেক্ষণে আছে। কোথাও কোন বাঁধে ফাঁটল বা ঝুঁকি দেখেলে পানি উন্নয়ণ বোর্ডকে সাথে সাথে জানানোর আহবান জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত দুইদিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার থেকে পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। গোমতী পাড়ের বাবুর বাজার, এতবারপুর, ছত্রখিল, কামাড়খাড়া বাঁধ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানি খালগুলো দিয়ে ঠিকমতো নিস্কাশন হতে না পারায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উপজেলার ১৩ ইউনিয়নসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সড়কে পানি জমেছে।
এদিকে জলাবদ্ধতায় জেলার ১৭টি উপজেলায় ভেসে গেছে বিভিন্ন মাছের প্রজেক্ট, দীঘি ও পুকুর। এতে কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। মরে গেছে বেশ কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্মের বিপুল পরিমাণ মোরগ।
এসআই