ঈশ্বরগঞ্জে সাফজয়ী অধিনায়ক আসিফের বাড়িতে আনন্দ, মিষ্টি বিতরণ

  • নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম

ময়মনসিংহ: ঈশ্বরগঞ্জে আনন্দের বন্যা বইছে। চারিদিকে শুধু আনন্দ আর আনন্দ। সাফ অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবলের অধিনায়ক আশরাফুল হক আসিফের গ্রামের বাড়ির চিত্র এটি।

সাফ অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবলের অধিনায়কত্বে অনবদ্য অবদান রেখেছেন ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার দত্তপাড়া মহল্লার আসিফ। বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকালে নেপালের কাঠমান্ডুতে নেপালের সঙ্গে ফাইনাল খেলায় ৪-১ গোলে হারায় লাল-সবুজের বাংলাদেশ দল। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আসিফের বাড়িতে আনন্দ-উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার দত্তপাড়া মহল্লার মৃত আবু তালেবের ছেলে আরিফুল ইসলাম আসিফ। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। বাবা ছিলেন স্থানীয় সুনামধন্য সাংবাদিক। মা ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।

এলাকার লোকজন টিভিতে খেলা দেখতে না পারলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠে। 

উল্লসিত জনতা আসিফের বাসায় গিয়ে তার মা মমতাজ বেগমকে মিষ্টি মুখ করান। এছাড়া আসিফের বড় বোন তাহমিনা আক্তার হিমি ও বড় ভাই আরিফুল হক আরিফও এলাকাবাসীকে মিষ্টি মুখ করাতে দেখা গেছে। বুধবার বিকালে স্থানীয় খেলার মাঠে সমর্থকদের আসিফ আসিফ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আশরাফুল ইসলাম আসিফের কৃতিত্বের জন্য সারাদেশের মানুষ বিজায়ানন্দ করছে। সাফ জয় করেই নিজ এলাকায় ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন আসিফ। 

[230835]

বর্তমানে আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত। আসিফের বড় ভাই আরিফুল হক বলেন, ভাইটাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আজ একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন আশা করি, আসিফ দেশের জন্য আরো বড় বড় সাফল্য বয়ে আনুক।

আসিফের বন্ধুরা বলেন, ফুটবলের প্রতি তার এতটাই আসক্ত ছিল যে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় কোথাও কোনো ম্যাচের খবর পেলে সে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চলে যেতো। 

আসিফের বড় ভাই আরিফুল হক বলেন, ভাইটাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আজ একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন আশা করি, আসিফ দেশের জন্য আরো বড় বড় সাফল্য বয়ে আনুক।

আসিফের মা মমতাজ বেগম ছেলের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায়  মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে ছেলে আসিফের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করছেন। আসিফ অনেক দূর এগিয়ে যাক-এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তার মা মমতাজ বেগম।

তিনি বলেন, আসিফ নেপালে যাওয়ার আগে ফোন করে বলেছিল আম্মা আমাদের জন্য দোয়া করিও, আমরা যেন সাফ জয় করেই দেশে ফিরতে পারি। আজ আসিফের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, আমি এই এলাকার ইউএনও হলেও আজ মনে হয়েছে আসিফ আমার পরিবারের একজন। কি যে আনন্দ লাগছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি তার মঙ্গল কামনা করছি। আসিফের ছবিসহ আমার নিজের ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেছি।

এআর