নোয়াখালী : নোয়াখালীতে পানির সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ৭ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার মাইজদীর হাসপাতাল রোডের আদর হসপিটাল ভবনের আদর ফার্মেসিতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, আদর ফার্মেসির কর্মচারি মো. দুলাল (২৬), দিনমজুর আশিক (২৮) ও রাফেল (৩২)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
[230969]
আদর হসপিটাল ফার্মেসির প্রোপাইটর মো. আব্দুল কাদের বলেন, রাত ৯টার দিকে আদর হসপিটাল ভবনের নিচে বেজমেন্টে পানির সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যায় দিনমজুর আশিক ও রাফেল। তখন আমি ফার্মেসিতে ছিলাম না। একপর্যায়ে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে আকস্মিক বিকট শব্দে পানির ট্যাংকে বিস্ফোরণ হয়। এতে আমার ফার্মেসি দোকান ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। ওই সময় দোকানে থাকা কর্মচারি দুলাল, দিনমজুর আশিক ও রাফেল দগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়।
তিনি আরো বলেন, ফার্মেসিতে ১৭-১৮ লাখ টাকার ওষুধ ছিল। বিস্ফোরণে সব মিলিয়ে ২০-২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
[230964]
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, আহতদের মধ্যে সাত জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া আরো তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সহকারি পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, বহুতল ভবনের বেজমেন্টে থাকা পানির সেফটিক ট্যাংক হঠাৎ করে বিকট এ শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে আদর ফার্মেসি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।
এসএস