দুর্বৃত্তের আগুনে বিসিসি‍‍`র ক্ষতি পৌণে ১৯ কোটি টাকা

  • বরিশাল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম

বরিশাল: বৈষম্য বিরোধী দাবির মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তের দেয়া আগুন সন্ত্রাসে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তিনটি ভবন ও বিবির পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় জ্বালিয়ে দেয়া হয় এ্যানেক্স ভবন। এতে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩১ হাজার ১শ ৩৫ টাকার ক্ষতির হিসেব প্রস্তুত করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। ক্ষতির হিসেব ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। 

বরাদ্দ না আসলে এসব ভবনে কাজ করা সম্ভব হবে না বলেও জানিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট পাঁচ তলা বিশিষ্ট এ্যানেক্স ভবনটি অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়ে ১২ কোটি ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৯ টাকা ক্ষতি হয়। পাঁচতলা বিশিষ্ট অডিটোরিয়ামের মালামাল বিনষ্ট করায় ৪ কোটি ৪১ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। তিন তলা বিশিষ্ট নগর ভবনে হামলা ভাঙচুর করায় ৭ লাখ ১৮৬ টাকা ক্ষতি হয়। বিবির পুকুরের চতুর্পার্শ্বের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ভাঙচুর ও বিনষ্ট করায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭১০ টাকা ক্ষতি হয়। এ্যানেক্স ভবনে সংরক্ষিত জনস্বাস্থ্য বিভাগে সরকার প্রদত্ত ভ্যাকসিন ঔষধ, লজিস্টিক মালামাল, ভিটামিন এ ক্যাপসুল, আসবাবপত্র পুড়ে গিয়ে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

[231107]

একই ভবনে সংরক্ষিত মশক নিধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত ঔষধ, মালামাল পুড়ে গিয়ে ৬৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া এ্যানেক্স ভবনের নিচ তলায় পরিছন্ন বিভাগের সংরক্ষিত মালামাল, আসবাবপত্র পুড়ে ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অহিদ মুরাদ জানান, বিবির পুকুরের ওয়াল ওয়াসার ৩০ টি লাইট ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং তার ছিড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া তিন বাহুর ৩টি, পাঁচ বাহুর একটি, দুইটি গার্ডেন লাইট, ছয়টি ফোয়ারা লাইট ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এর ফলে গত ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত এভাবেই রয়েছে বিবির পুকুর। সৌন্দর্য হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরটি। সন্ধ্যা হলেই বিবির পুকুর অন্ধকারে তলিয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, বিবির পুকুরের চারপাশের লাইটিং ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। তা না হলে এখানে ঘটতে পারে নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। 

আরো কতদিন এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে এমনটা জানা নেই সিটি কর্তৃপক্ষেরও। তবে তারা বলছেন বরাদ্দ এলেই পুনরায় সংস্কার করা হবে এই ভবনগুলোর। পাশাপাশি নাগরিক সেবাও নিশ্চিত করা যাবে।

এসএস