কুমিল্লার হোমনায় ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, খুনি গ্রেপ্তার

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

কুমিল্লা: কুমিল্লার হোমনায় মা, শিশুসহ তিনজনের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মূল আসামি আক্তার হোসেন প্রকাশ সুমনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ‍উপজেলার শ্রীমদ্দি চরেরগাও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত প্রকাশ ওই গ্রামের হক মিয়ার ছেলে।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আত্মীয়তার সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই আক্তার হোসেন প্রকাশ সুমনের প্রায়ই আশা যাওয়া ছিল নিহতের বাড়িতে। নিহত মাহমুদার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কও ছিল তার। এ সুবাধে প্রায়ই মাহমুদা বেগমের স্বামী বাড়ীতে না থাকলে সে অবাধে আসা যাওয়া করতো। এতে উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও হয়। সম্প্রতি মাহমুদা অন্য পুরুষের সাথে ফোনে কথা বলা এবং টাকার-পয়সা লেনদেন নিয়ে তর্কের সৃষ্টি হয় সুমনের সাথে।

[231425]

এরই জেরেই গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে আখের রস ও সিঙ্গারা নিয়ে মাহমুদার ঘরে যায় সুমন। মধ্যরাত পর্যন্ত তারা স্বাভাবিক খাবার খেয়ে আড্ডা দেয়। সুযোগ বুঝে সুমন আখের রসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে প্রথমে সবাইকে অচেতন করে। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে একে একে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হতে পরে কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলানো হয় তাদের মাথা ও মুখ। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী সুমনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে।

[231426]

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।

এসএস