কুবির শিক্ষার্থী হামলার নির্দেশ দাতা ও জড়িত ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য (ভিসি) এএফএম আব্দুল মঈন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো. শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

[232432]

মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈনকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও আবু উবাইদা রাহিদ, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম শেখকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলাটিতে। মামলায় আরও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে বের হয়ে একটু সামনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ পার হলেই একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হন।

[232431]

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈন, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও আবু উবাইদা রাহিদ, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম শেখের নির্দেশে এজাহারনামীয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালান।

এবিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এসএস