গাজীপুরে ২১ দফা দাবিতে ওষুধ কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ

  • গাজীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি ওষুধ কারখানার শ্রমিকেরা ২১ দফা দাবি আদায়ে কারখানার গেটে বিক্ষোভ করেছেন।  রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত শ্রমিকদের এ বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার আওতাধীন মৌচাক তেলিরচালা এলাকার জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের শ্রমিকরা রোববার সকালে কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার নিয়মকানুন পরিবর্তন ও শ্রমিকদের স্বার্থ জড়িত এমন ২১ টি দাবিতে কারখানার গেটেই বিক্ষোভ করে শুরু করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের এ বিক্ষোভের সময় তাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা মনোভাব ও কারখানার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেয়।

[233797] 

পরে খবর পেয়ে কালিয়াকৈরের শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ওষুধ কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। 

বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানান, কারখানা ১ এবং ২ ইউনিটে মাহমুদুল হাসান নামের ব্যক্তি এইচ আর ডিপার্টমেন্টে বহাল থাকবেনা। একই সঙ্গে তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ২১ দফা দাবি আদায়ে সকাল থেকেই কারখানার মূল গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাদের এ বিক্ষোভে কোন ধরনের হামলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এখনো ঘটেনি। তারা শান্তি পূর্ণ ভাবে কর্মসূচি সূচি পালন করে আসছেন। 

এ দিকে জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের এইচআর এন্ড এডমিনের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমরা শ্রমিকদের ২১ দফা দাবি পূরণে কারখানার মালিকপক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বস্ত করেছেন। এখন আমরা শ্রমিকদেরকে তাদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

[233814]

অপর দিকে কালিয়াকৈর শিল্প পুলিশের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কারখানার গেটের সামনেই হইহট্টগোল করছে। এমন খবরে এখানে এসেছি। এখানে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে শ্রমিকদের বুঝানো হয়েছে। আমাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এখানে এসেছেন। মালিকপক্ষের লোকজনও উপস্থিত হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের এ সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। 

উল্লেখ্য, শ্রমিকদের ২১ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো, আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারখানায় একটি কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটির মাধ্যমে শ্রমিকদের সমস্যাগুলো তুলে ধরা ও সমাধানের সুযোগ থাকবে এবং ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের নুন্যতম বেতন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে এবং স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন ১৪ হাজার টাকা করতে হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী শ্রমিকদের জন্য আরও ৩ হাজার টাকা সমন্বয় করতে হবে। 

এসএস