মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু, তীরে ফিরছে হাজারো ট্রলার 

  • পাথরঘাটা প্রতিনিধি:  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

বরগুনা: ২২ দিনের জন্য মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা শুরু আজ মধ্যরাত থেকে। রোববার (১৩ অক্টোবর) থেকে ৩ নভেম্বর এই ২২ দিন সময়ে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। 

শনিবার উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে হাজারো ট্রলার বিভিন্ন স্থানে এসে নোঙর করতে শুরু করেছে। এই ২২ দিন কর্মহীন হয়ে যাওয়ার চিন্তায় অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেরা। 

উপকূলে জেলেরা সমুদ্রের মাছের উপর নির্ভরশীল, ইলিশ মাছ বিক্রির টাকা তাদের এক মাত্র আয়ের উৎস। বরগুনার পাথরঘাটায় জেলের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এই সকল জেলারা ২২ দিনের জন্য কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
 
পাথরঘাটায় সরকারি নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮২০ জন এই ২২ দিনে ২৫ কেজি চাল সহায়তা ভাবে ১১ হাজার ৮৭ জন জেলে। বর্তমান সময় বাজার মূল্যের কাছে ২২ দিনের জন্য এই ২৫ কেজি চাল অতি তুচ্ছ। তাই পাথরঘাটার জেলেপাড়ায় জেলেদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও হতাশা বিরাজ করছে। তাই ২২ দিনের জন্য নতুন কর্মসংস্থান খুঁজছে পাথরঘাটার জেলেরা ।

কালমেঘার জেলে রহিম বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে আমরা ২৫ কেজি চাল পেয়ে থাকি। এই ২৫ কেজি চাল দিয়ে সংসার চলে না এর সাথে আমাদের আর্থিক সহায়তা দরকার। 

সরকারের প্রদান উপদেষ্টার কাছে আমাদের দাবি আর্থিক সহায়তা দিতে হবে না হলে বিকল্প কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।

[234293]

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় উপকূলের জেলেরা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। 

এ সময় তিনি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান , নিষেধাজ্ঞার সময়ে যেন ভারতের ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার না করে, সেদিকে খেয়াল রাখার সহ জেলেদের ২২ দিনের জন্য বিকল্প কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়ার দাবি জানায়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম  বলেন, সাগরে এই ২২ দিন কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।

এই ২২ দিনের জন্য ১১হাজার ৮৭ জন জেলেকে সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের আওতায় আনা হবে।

এআর