নীলফামারী: ইউটিউব দেখে বাড়ির পার্শ্বে পতিত জমিতে কিংবা অন্য ফসলের সাথে সাথী ফসল হিসেবে বস্তায় আদা চাষ করে বাড়তি আয় করছেন নীলফামারীর কৃষকরা। এই পদ্ধতিতে আদা চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর পরিধি।
গাছতলায়, বাড়ির আঙিনায়, অন্যান্য ফসলের সাথে সাথি ফসল হিসেবে করা যায় বস্তায় আদা চাষ। ইউটিউবে বস্তায় আদা চাষের এমন ভিডিও দেখে নীলফামারীর অনেকে এখন এই পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করছেন। নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জের জুলেখা আক্তার ইউটিউবে দেখে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হন। এরপর স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে বাড়ির পার্শে করলা, বেগুন এবং কাঁচা মরিচের সাথে শুরু করেন বস্তায় আদা চাষ। প্রথমে ছাই, জৈব সার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুতি করেন তিনি। তারপর পরীমূলকভাবে ১২শ’ বস্তায় মাটি ভরে আদার চারা রোপণ করেন। গাছ আর ফলন দেখে আগামীতেও এই পদ্ধতিতে আরো বেশি আদা চাষের স্বপ্ন বুনছেন তিনি।
[234907]
জুলেখার মতো ইউটিউব দেখে একই উপজেলার বাবুল হোসেন ২শ’ বস্তায়, ডোমার উপজেলার রহিম মিয়া ২ হাজার বস্তায় ও সদর উপজেলার নেন্দেশু পাড়ার মনোরঞ্জন রায় ৩শ’ বস্তায় এবছর আদা চাষ করেছেন। তারা বলেন ইউটিউবে ভিডিও দেখে এই পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করি। জমিতে লাগানে আদা গাছে পচন রোগের আক্রমণ বেশি থাকে। কিন্তু বস্তায় লাগানো আদা গাছে এ রোগ নেই। সার-কীটনাশক, পরিশ্রম এবং রোগবালাই কম হওয়ায় লাভের আশা করছেন তারা। আগামীতে এই পদ্ধতিতে তারাও আদা চাষ করতে চান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে মতে, এ বছর জেলায় ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৫ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলায় ১ লাখ ৫ হাজার, ডোমারে ৬৫ হাজার , ডিমলায় ৬০ হাজার, কিশোরগঞ্জে ৫৮ হাজার ৪০০ বস্তা, জলঢাকায় ২৬ হাজার ও সৈয়দপুর উপজেলায় ১৮ হাজার ১৫০ বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। আগামীতে বস্তায় আদা চাষের পরিধি আরো বাড়বে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস,এম,আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান সরাসরি জমিতে আদা চাষ না করে পতিত ও বসত বাড়ীর খালি জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করতে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। জমির চেয়ে বস্তায় আদা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। এছাড়া এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে রোগ বালাইয়েরও শঙ্কা নেই।
এসআই