পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে পিটুনি, থানায় সোপর্দ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক:  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলিম। এ সময় তাকে চড়-থাপ্পড়সহ পিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে ইবি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল আলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।  

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আব্দুল আলিম প্রকাশ্যে জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন, শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়া ও অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন তিনি।

জানা যায়, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। ইতোমধ্যে দুটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গেছে যেগুলোতে আলিম অংশ নেয়নি। সর্বশেষ শনিবার তৃতীয় পরীক্ষায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি।  

এদিকে তার ক্যাম্পাসে প্রবেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের নিচে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তিনি পরীক্ষা শেষ করে হল থেকে বের হলে শিক্ষার্থীরা তাকে চড়-থাপ্পড় দেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন।

আব্দুল আলিম বলেন, নিজ উদ্যোগে পরীক্ষা দিতে এসেছি। ভাবছিলাম দেরিতে এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাসমার্ক তুলে আগে আগে চলে যাব। কিন্তু বুঝতে পারিনি বিষয়টা এতদূর গড়াবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই পরীক্ষা দিতে আসেন ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল আলিম। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে ‘মব জাস্টিসের’ হাত থেকে রক্ষা করে থানায় হস্তান্তর করে। এখন তিনি আমাদের হেফাজতে আছে।

আইএ