ভাইকে ফাঁসাতেই স্ত্রীকে হত্যা করেছিল হারুন

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম

লক্ষ্মীপুর: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাই হিরনকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল হারুনুর রশিদ।  এসময় ডাকাতির ঘটনা সাজাতে নিজের শরীরে দা দিয়ে আঘাতও করেন তিনি।  আদালতে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই কথা জানিয়েছেন হারুনুর রশিদ। 

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, আসামি হারুন তার ভাই হিরনকে ফাঁসাতে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেন। এই বিষয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) আদালতে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

[235081]

এর আগে হারুনকে ১৯ অক্টোবর রাতে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হারুন সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগি গ্রামের মৃত হানিফ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাড়ার মাঝি ছিলেন। 

পুলিশ জানায়, হারুনের সঙ্গে তার ভাই হিরনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর রাতে খাবারের পর হারুনের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।  রাত পৌনে ৩টার দিকে হারুন পাশ্ববর্তী বিয়ে বাড়ির সাজসজ্জা দেখতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী জেসমিনকে নিয়ে বের হয়। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে সে। ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রচার করতে হারুন নিজের তার হাতে ও ঘাঁড়ে কাটা জখম করে।

[235071]

পরে দা পুকুরের পানিতে পরিষ্কারের পর বসতঘরে রেখে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে আসলে সবাইকে জানায় ৭-৮ জনের ডাকাতদল তাদেরকে কুপিয়েছে। একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাই হিরন ও তার স্ত্রীকে ফাঁসাতে হারুন নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে ডাকাতি বলে ঘটনাটি প্রচার করেন। 

এসএস