আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের ২৯ ঘণ্টা, অসহনীয় দূর্ভোগে যাত্রীরা

  • সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম

ঢাকা: আশুলিয়ার বাইপাইলের ত্রিমোড়ে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লি. নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত দুদিন ধরে নবীনগর- চন্দ্রা- আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে পুরো আশুলিয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম যাত্রী দূর্ভোগসহ এ এলাকায় প্রায় অচল অবস্থা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বাইপাইল মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, গত কালের ন্যায় আজও শতশত শ্রমিক সড়কটি দখল করে বসে আছ। কেউ কেউ মাইকে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে। রাতেও তারা এখানেই ছিল।

[235162]

এর আগে সোমবার সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় কারখানার সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বাইপাইলে যায় শ্রমিকরা। এরপর গত রাতে একই ভাবে তারা শুয়ে বসে অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি শিল্প পুলিশ ও জেলা পুলিশ রয়েছে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, গত তিন মাস থেকে কোনো বেতন বোনাস তাদের দেওয়া হয়নি। বেতন না দিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে কয়েকবার মালিকপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। বারবার আশ্বাস দিলেও তারা বেতন পরিশোধ করা নিয়ে নানা টালবাহানা করছে। তিন মাস অতিবাহিত হলেও বেশিভাগ শ্রমিক বেতন বোনাস পায়নি। কারখানার স্টাফদের বেতন বকেয়া আছে চার থেকে পাঁচ মাসের।

তারা বলেন, ‘আমরা বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে গেলে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। তবে এখন পর্যন্ত কারখানা খুলে দেয়নি, বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেনি।’

[235155]

তারা আরও জানায়, ‘গত তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। বাসা ভাড়া ও দোকান বাকি থাকায় অনেকটাই না খেয়ে দিন পার করছি। কোথাও চাকরি নিতে পারছি না। এক মাসের বেতন বোনাস পরিশোধ না করেই গত মাস আগে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। গত মাসে বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্ত তিন মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে এসেছি। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।’

চলমান অবরোধে নবীনগর-চন্দ্রা-আব্দুল্লাপুর মহাসড়কের জামগড়া, জিরাবো, পলাশবাড়ি, বাইপাইল, ইপিজেড এলাকাসহ পুরো আশুলিয়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব এলাকায় ব্যবসা বানিজ্যে প্রায় অচল অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন এ পথে চলাচল করা সাধারণ মানুষ এবং যানবাহন সংশ্লিষ্টরা। গাড়ি নিয়ে তারা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা জানে না কখন তারা এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে।

এসএস