অবরোধে থমকে গেছে জেলেদের জীবনযাত্রা, বাড়তি সহায়তার দাবি

  • মাহমুদুর রহমান রনি,পাথরঘাটা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ০৫:০০ পিএম

বরগুনা: ‎ইলিশের প্রজনন বাড়াতে বঙ্গোপসাগর সহ নদ-নদী গুলোতে ২২ দিনের ইলিশ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকে জেলেরা।

এই নিষেধাজ্ঞায় বরগুনার পাথরঘাটায় অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি নিস্তব্ধ হয়ে আছে। যেখানে সারাদিন হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগম হতো, বিক্রি হতো কোটি কোটি টাকার রুপালি ইলিশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে থমকে গেছে সেই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি। নেই কোন ক্রেতা সমাগম, নেই কোন মাছের আমদানি। যেমন থমকে গেছে পাথরঘাটা বিএফডিসি, তেমনি অবরোধের কারণে থমকে গেছে জেলেদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

[235660]

‎এ বছর জেলেদের ইলিশ শিকারে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন অবরোধ দেয়া হয়েছে। এই ২২ দিন কর্মবিরতি থাকার কারণে কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে জেলেদের। তাদেরকে এই ২২ দিনের বিপরীতে জনপ্রতি দেয়া হয় ২৫ কেজি চাল। বর্তমান সময়ের বাজার মূল্যের কাছে ২২ দিনের জন্য এই ২৫ কেজি চাল অতি তুচ্ছ। তাই পাথরঘাটার জেলেদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা ও হতাশা।

‎আব্দুল জব্বার মোল্লা, জামাল মোল্লা সহ একাধিক জেলেরা জানান, ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ২২ দিনের অবরোধ দেয়া হয়। ২২ দিনের অবরোধের বিপরীতে জেলেদের সরকারি ২৫ কেজি চাল দেওয়া হয়। কিন্তু শুধু এই ২৫ কেজি চাল দিয়ে জেলেরা জীবনযাপন করতে পারছেনা। চলছেনা ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ। এই চালের সাথে যদি কোনো আর্থিক সহায়তা দেয়া হতো, তাহলে পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো করে দিন কাটাতে পারতাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের আর্থিক সহায়তা দাবি জানাই।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, প্রতিটি জেলে পরিবারে প্রায় সাত থেকে আটজন সদস্য আসছে। এই ২২ কেজি চাল দিয়ে তাদের সংসার চলেনা। চালের সাথে যদি জেলেদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় তাহলে তারা পরিবার নিয়ে বাঁচতে পারবে।

[235663]

‎পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, ২২ দিনের অবরোধ চলছে।  ‎পাথরঘাটায় সরকারি নিবন্ধিত প্রায় ১৬ হাজার ৮২০ জন জেলে আছে। তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৮৭ জন জেলে অবরোধকালীন সময়ে ২৫ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে।

‎জেলেদের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জেলেদের জন্য কোনো আর্থিক বরাদ্দ নেই। যদি কোনো বরাদ্দ আসে তাহলে আসার সাথে সাথেই জেলেদের মাঝে পৌঁছে দেয়া হবে।

এসএস