সিলেট: সিলেটে সিম কার্ড বিক্রেতা এক নারীকে হেনস্থা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী মামুন আহমদ চৌধুরীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের উপশহরে সীম বিক্রেতা ওই তরুণীকে একটি ফেসবুক পেইজে লাইভ করে হেনস্থা ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়।
কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী মামুন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙাবাড়ি দলইমাটি এলাকার মৃত হরমুজ আলীর ছেলে। বর্তমানে নগরের মেজরটিলা নীপবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সে। মামুন নিজেকে আধুনিক টিভি নামে একটি ফেসবুক পেইজের সাংবাদিক দাবি করে। অভিযুক্ত অপর ব্যক্তি হলেন শাহজালাল উপশহর এলাকার মিলাদ আহমদ।
[236335]
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন (মামলা নং- ২৮) মামুন। ওই সময় মামুনের বিরুদ্ধে সিলেটের শাহপরান (রহ.) থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা (মামলা নং-১৯২) দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় শাহজালাল উপশহর এলাকাস্থ হাট রেষ্টুরেন্টের সামনে সীমকার্ড বিক্রয় করার সময় মামুন ও মিলাদ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ও ব্যবসায়িক জিনিসপত্র ভেঙে দেন। এসময় তাকে হুমকি ধামকি দেন।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিগত কয়েক দিন যাবৎ মিলাদ তাকে ওই স্থানে বসে ব্যবসা না করার জন্য নানাভাবে হয়রানি করেও আসছিলো। গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিলাদের পরামর্শে মামুন একটি ক্যামেরা নিয়ে এসে তার সামনে দাঁড়ান। এসময় মামুন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলে মান সম্মান হেয় প্রতিপন্ন করে। তখন ভুক্তভোগী এসবের প্রতিবাদ করলে মামুন তাকে চড়-থাপ্পর মারতে থাকে এবং মিলাদ তার ব্যবসার ছাতা ও চেয়ার পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী আইনের আশ্রয় নিতে গাড়িতে উঠলে অভিযুক্তরা কয়েকবার তাকে টানা হেছড়া করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এসময় তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়-আর এই স্থানে ব্যবসা করতে দেখলে এসিড নিক্ষেপ করা হবে। পুরো ঘটনার ধারণ করা ভিডিও আধুনিক টিভি নামে একটি ফেসবুক পেজে ছাড়িয়া তার মান ক্ষুন্ন করা হয়।
[236323]
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (র.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শুনেছি তারা নাকি সমঝোতায় যেতে চাচ্ছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য, সিলেটে নাম সর্বস্ব ভূয়া পেইজধারী কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলছে অবাধে চাঁদাবাজি। তাদের কথামতো না হলে লাইভ দিয়ে মানহানির চেষ্টার অনেক অভিযোগ রয়েছে এসব নাম সর্বস্ব ভুয়া পেইজধারীদের বিপক্ষে।
এসএস