কুড়িগ্রামে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির পর হত্যা

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ১১:২৬ এএম

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গভীর রাতে জানালার গ্রীল কেটে বাড়ীতে ঢুকে সকলের হাত-বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় বাড়ী ওয়ালার ছেলেকে মারধোর ও শ্বাসরোধে হত্যা পর টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে সশস্ত্র ডাকাত দল। 

সোমবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারী ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের বাড়ীতে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম হামিদুল ইসলাম আলে (৩০)। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান ও ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সানোয়ার হোসেন সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

[236361]

পুলিশ ও বাড়ীর মালিক শফি উদ্দিন জানায়, রাত দুইটার দিকে দশ বারো জন মুখোশ পড়া সসস্ত্র ডাকাত রান্না ঘরের জানালার গ্রীল কেটে বাড়ীতে প্রবেশ করে। বাড়ীতে ঢুকেই তারা শফি উদ্দিন তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে আলেফ উদ্দিন, আনিছুর রহমান এবং ছেলের বউ সোমাইয়া বেগম সহ সকলের হাত পা মুখ বেঁধে মারধোর করতে করতে টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায় আছে দেখিয়ে দিতে বলে। এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে থাকা ১০/১২ হাজার টাকা, পাঁচ-ছয় ভরি স্বর্ণালংকার এবং মহিলাদের শরীরে থাকা স্বর্নালংকার আরও দুই-তিন ভরি স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাড়ী ওয়ালার ছেলে হামিদুল ইসলাম আলে ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে বেদম মারধোর করে মুখে কাপড় গুজে দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। 

শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার পরও আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে মারধোর করে নাক মুখ গলা চেপে ধরে হত্যা করে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। 

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। ডাকাতির ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।  

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাত দল রান্না ঘরের জানালার গ্রীল কেটে বাড়ীতে প্রবেশ করেছে। বাড়ীর মালিকের ছেলে আলেফ উদ্দিন হয়তো ডাকাতদের চিনতে পেরেছে। সে কারনে ডাকাতরা তাকে মেরে ফেলতে পারে। অনুসন্ধান করে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এসআই