সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারের লক্ষ্যে গত ১০ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে ইমনদ্দোজা আহমদকে আহ্বায়ক ও মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব করে ৯৯ সদস্যের সুনামগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হন। সবাইকে নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বঞ্চিত পক্ষ মানববন্ধন করে। পরে বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নতুন কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল। সকাল থেকেই সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। দুপুরের দিকে কমিটিতে স্থান না পাওয়া শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা এসে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
[237216]
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমনদ্দোজা ইমন বলেন, আমরা আগেই জানতাম একটা গ্রুপ আছে, যারা লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হয়তো সে কারণে কমিটিতে তাদের নাম আসেনি। এটা সেন্ট্রালের বিষয়। আমাদের কিছু করার নেই। এটা নিয়ে তারা গত মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় সমন্বয়কদের ছবি পুড়িয়েছে ও হুমকি দিয়েছে। আমরা থানায় জিডি করেছি। আজ তারা আমাদের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছে। আমরা এই বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না।
কমিটিতে স্থান না পাওয়া ওসমান গনি বলেন, নতুন এই কমিটির অনুমোদন দিয়ে সুনামগঞ্জে একটা বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা নিয়ে অনুষ্ঠানে বঞ্চিতরা নেতাদের কাছে তাদের কথা তুলে ধরতেই পারেন। এ জন্য কি মারধর করে আহত করে দেবে?
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এসএস