নড়াইলের আসামিদের ভিডিও করায় সময় টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা

  • নড়াইল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম

নড়াইল: নড়াইলে আদালতের সামনে আসামিদের ভিডিও করায় সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সজিব রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নড়াইল জেলা জজ আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০১৫ সালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের কালাচাঁদপুর গ্রামে শিশু শাহীন হত্যার ঘটনায় বুধবার দুপুরে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। বিকেল চারটার দিকে আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিমুল মল্লিক ও তার মা শামীমা বেগম এবং একই গ্রামের সৈয়দ লিটন, জাহিদুর রহমান মিঠু ও সৈয়দ জাহাঙ্গীরকে প্রিজন ভ্যানে তুলছিলেন পুলিশ। এসময় ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক সজিবকে আসামি ও তার স্বজনরা প্রথমে গালিগালাজ করেন এবং হেলমেট হাতে এক স্বজন তেড়ে আসেন মারতে। পুলিশ হেফাজতে থাকা একহাতে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় আসামি লিটন সজিবকে লাথি মারেন। পরে আসামির স্বজনেরা সজিবকে মারধর করেন।

[237743]

সজিব রহমান বলেন, হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালত চত্বর থেকে বের করে নেওয়ার সময় ক্যামেরা দেখে আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করলেও আসামির স্বজনরা হামলে পড়ে এমনকি হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামিরাও হামলা চালায়। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আদালত এলাকায় পুলিশ থাকলেও সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোন নিরাপত্তা নাই। আমি এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। 

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে চ্যানেল টুয়েন্টিফোর ও কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তুহিন বলেন, আদালত রায় দিয়েছেন। আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করবো এটা স্বাভাবিক। রায়ের পর ক্ষিপ্ত হয়ে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় আসামি সাংবাদিকের উপর হামলা করবে এটা পুলিশের উদাসীনতা ছাড়া কিছু নয়। দায়িত্ব পালনকালে আসামির স্বজনরা হামলা চালাবে! দেশে সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারবার সাংবাদিক কেন লাঞ্ছিত হবে? দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আদালত এলাকায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নাই।  এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। 

এ ব্যাপারে নড়াইল আদালত পুলিশের পরিদর্শক সরেস চন্দ্র বলেন, প্রথম থেকে উগ্র আচারণ করছিল আসামিরা। তারা সাংবাদিককে গালিগালাজ করেছে৷ তবে আসামি সাংবাদিককে লাথি মারেনি। আর আসামিদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কেউ একজন হেলমেট দিয়ে হয়তো এক সাংবাদিককে মারতে যায়। আসামিরা পুলিশের হেফাজতে ছিল, তাদের পক্ষে মারার কোনো সুযোগ নেই। স্বজনরা কোনো কিছু করে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিবে কি না, সেটা সেই সাংবাদিকের বিষয়। 

এসএস