সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদ

  • সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম

সোনারগাঁ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধ মাছের ঘের নির্মাণ করে পোনসহ বিভিন্ন জাতের মাছ নিধন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।  রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান।  এসময় নদীতে অবৈধ ঝোপ বা কাঠা ফিসারী উচ্ছেদ করা হয়েছে।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মৎস্য অভিযান পরিচালনা করেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান।

[238602]

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল মোর্শেদ, সোনারগাঁ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ প্রমখ।

অভিযান চলাকালে তিনটি ঝোপের বাঁশ ও জাল কেটে ফেলা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও তিনটি ঝোপের বাঁশ কেটে ও কচুরিপানা সরিয়ে দেয়া হয়।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, র্দীঘদিন ধরে মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে মাছের ঘের নির্মাণ করে মাছ নিধন করছে এমন অভিযোগ পেয়েও জেলেদের একাধিক বার সর্তক করা হয়েছে। কিন্তু তারা নিজ দায়িত্বে সড়িয়ে নেয়নি। তাই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যারা মাছের ঘের দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

তিনি আরও জানান, বৈদ্যের বাজার ও বারদী ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা সময় চেয়েছেন মেঘনা নদীতে বিদ্যমান সকল অবৈধ ঝোপ বা কাঁটা ফিসারি সরিয়ে ফেলার জন্য। সেই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের ৭ দিনের সময় দিয়েছেন। ৭দিনের মধ্যে অবৈধ ঝোপ সরিয়ে ফেলা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৎস্য নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

[238597]

উল্লেখ্য, মেঘনা নদীতে অবৈধ ঝোঁপ দেওয়ার ফলে নদীতে দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ঝোপের মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির সকল মা মাছ ও অন্যান্য ছোট মাছ ধরে ফেলা হচ্ছে।

এসএস