সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ৯ বছরের শিশু নুসরাতকে হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
শিশু নুসরাত আগরদাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলাম (রুবেল) এর মেয়ে।
[239703]
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেন জানান, শনিবার বেলা ১১ টার পর থেকে নুসরাতকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুর ১টার দিকে পার্শ্ববর্তী সালমান আজিজ এর পুকুর থেকে তার হাত-পা বাঁধা ও গলায় রশি পেঁচানোসহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিকভাবে তারা আশাশুনি থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার ওসি নজরুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ইউপি সদস্য আঙ্গুর আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার পর হাত পা বেঁধে ও গলায় রশি দিয়ে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
[239697]
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ওই গ্রামের জনি নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টার পর তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আইএ