তিন হাজার যাত্রী নিয়ে মাঝ নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০১:১৩ পিএম

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মেঘনায় মাঝনদীতে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের বিলাসবহুল দুই যাত্রীবাহী চলন্ত লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে লঞ্চ দুটির সম্মুখভাগের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক সোয়া ২টার দিকে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। লঞ্চ দুইটি হলো- বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কীর্তনখোলা-১০ এবং ঢাকা থেকে বরিশালগামী প্রিন্স আওলাদ-১০।

[240213]

বরিশালের বিআইডব্লিউটি এর বন্দর কর্মকর্তা ও নৌ-পুলিশ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায়, শনিবার রাত ৯ টার দিকে বরিশাল থেকে প্রিন্স আওলাদ-১০ এবং ঢাকা থেকে কীর্তনখোলা-১০ নামের দুটি লঞ্চ পৃথকভাবে প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্যেশে ছেড়ে যায়। মধ্যরাতে দুটি লঞ্চ চাঁদপুরের কুয়াশার কবলে পড়ে।

এ সময় হরিনা নামক স্থানে লঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি লঞ্চেরই সম্মুখ ভাগ দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এর মধ্যে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছে। তবে প্রিন্স আওলাদ-১০ দুর্ঘটনা স্থলেই রয়েছে। 

বিআইডব্লিউটি এ আরও জানায়, প্রায় হাজার দেড়েক যাত্রী ছিলো এই লঞ্চে। এই যাত্রীদের শুভরাজ-১০ নামক অপর একটি লঞ্চ উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বরিশালের উদ্যেশে রওনা করেছে। দুপুরের যেকোন সময়ের মধ্যে তারা বরিশাল পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত দুই লঞ্চের কোন যাত্রী নিহত হননি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর বলেন, ‘কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের খবর জানান। পরে লঞ্চের স্টাফদের সঙ্গে কথা হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই। তবে, যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।’

[240204]

চাঁদপুর লঞ্চঘাটের টিআই সমর কৃষ্ণ বলেন, ‘চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাটের কাছাকাছি মেঘনা নদী অতিক্রমকালে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে, প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চে ৫৮০ জনের মতো যাত্রী ছিল। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে অন্য আরেকটি লঞ্চ এসে তাদের গন্তব্যে নিয়ে গেছে।’

এসএস