বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম এম এ জলিলকে মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে বহাল রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ শূন্য হওয়ায় গত ৩১ডিসেম্বর বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার গভর্নিংবডির (এডহক কমিটি) সভাপতি মো. ওবায়দুল্লাহ্ এম.এম.এ জলিল-কে অস্থায়ীভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন।
এরপরে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পূর্বেই স্বাস্থ্যগত অসুস্থতার কারন দেখিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্বেচ্ছায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে গত ১ জানুয়ারি অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এসময় মাদ্রাসার সকল শিক্ষক এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাও. ফজলুর রহমান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ ও একাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মাদ্রাসাটির সাবেক দূর্নীতিবাজ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাইয়ান, নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত মলুহার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মোঃ মিজানুর রহমান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কুদ্দুসের প্রকাশ্যে প্ররোচনায় পড়ে তার স্বেচ্ছায় দেয়া পদত্যাগপত্র-কে অস্বীকার করার প্রপাগন্ডা ছড়ায়।
এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ প্রপাগন্ডা ছড়াতে ভূমিকা রাখছে। মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম.এম.এ জলিল পতিত ফ্যাসিস্টের সরকারের দোসর। তার প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবক এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অসন্তোষ বিরাজ করছে। তার মুখে সর্বদা অশ্লীল ও ইসলাম বিদ্বেষী এবং উস্কানীমূলক কথা বিরাজমান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এম.এম.এ জলিল বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে তিনি জামায়াত-বিএনপি সম্পর্কে বিষাদগার ও উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করতেন। এমনকি জুলাই এর গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র জনতার ও সমন্বয়কদের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেন।
বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের র্ধম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাইয়ান মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পরে প্রথমে উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম ও পরে সহকারি অধ্যাপক মাওলানা একে এম ফজলুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
এসএস