শিক্ষিকাকে পেটালেন আরেক সহকর্মীর স্বামী, থানায় মামলা

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে তার সহকর্মী মোছা. আসমা খাতুনের স্বামী মো. মোশার হোসেনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নওগাঁ নলুয়াকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

আর এ ঘটনায় আহত শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে তাড়াশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।  

আহত শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চকরচুল্লাহ গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী। আর শিক্ষকাকে মারধর করা মো. মোশারফ হোসেন নলুয়াকান্দী গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নলুয়াকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুক। জানা গেছে, তারা দু‘জনই স্থির করেন চলতি বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হবেন। 

যার আবেদন সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানোর দায়িত্ব নেন সহকারি শিক্ষকা আসমা খাতুনের স্বামী মো. মোশারফ হোসেন (৪১)। 

কিন্তু সহকারি শিক্ষক আসমা খাতুনের স্বামী মো. মোশারফ হোসেন ফের স্ত্রীর মাধ্যমে জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে খরচ বাবদ টাকা দাবি করেন। কিন্তু জান্নাতুল ফেরদৌস আগে যেহেতু ৮৫০ টাকা দিয়েছেন। তাই পরে দাবি করা ৭০০ টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।

[241492]

আহত শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে সহকারি শিক্ষকা আসমা খাতুনের স্বামী মো. মোশারফ হোসেন বিদ্যালয়ে আসেন। এসে অফিস কক্ষে ঢুকে প্রথমে আমার সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। 

তারপরও আমি দাবি করা ওই ৭০০ টাকা দিতে অস্বীকার করি। তখন তিনি রেগে গিয়ে টেবিলে রাখা ফাইল তুলে আমাকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। পরে সেখানে থাকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকারা আহত আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। কিন্তু তাতেও সে নিবৃত্ত না হলে উপস্থিত শিক্ষকারা মোশারফকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ের কলাপসিবল গেট আটকে দিয়ে আমাকে রক্ষা করেন।

আর খবর পেয়ে শিক্ষকা জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী মাসুদ রানা ও স্বজনরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষিকার স্বামী মোশারফ হোসেন জানান, এগুলো সাজানো নাটক। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন খান জানান, মারধরের শিকার শিক্ষকা জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনার পর আমার অফিসে এসেছিলেন। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ এখনও দেয়নি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমীর হোসেনকে পাঠানো হয়েছিল। আর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এআর