ঠাকুরগাঁও: তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলবন্দি বিডিআরদের পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালের ২৬ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার পিলখানাসহ সারাদেশে চাকুরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যের পরিবারকে পনর্বাসন পূর্বক চাকুরি পুনঃবহাল।
১৬ বছর যাবৎ জেলবন্দি সকল নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের জেল হতে মুক্তি। স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকান্ডের সত্য উৎঘাটন ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিৎ করণ।
বিডিআরের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের আর আর মাত্র তিনমাস বাকি ছিলো আমার বাবার। আমি তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। এখন আমি দুই সন্তানের জননি। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ বাবার জন্য অপেক্ষা করছি। কি দোষ ছিলো আমার বাবার।
[241618]
আমার বাবা মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়নি বলেই কি জেলে তাকে আটকে রেখেছেন আপনার। মিথ্যা রাজস্বাক্ষী না দেয়ায় কি ছিলো তার অপরাধ? আমি স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে বলবো যেন দ্রুত আমার বাবাসহ নির্দোষ সকল বিডিআরকে মুক্তি দেয়া হয়৷ অশ্রুসিক্ত চোখে মানববন্ধনে দাড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন জেলবন্দি বিডিআর সদস্য আক্তার আলীর কন্যা আফরিন আক্তার।
একই মানববন্ধনে কাঁদছেন অন্য একবৃদ্ধা। ডুকরে ডুকরে কেঁদে বলছে আমার সন্তান জয়দেব বিডিআরের মুক্তি চাই। তার চাকরি ফেরৎ চাই।
মানবন্ধনে এই প্রতিবেককে ডেকে একজনকে বলতে শোনা যায় আমি চন্দন বিডিআরের বোন মুক্তি রানী বলছি ভাই। আমার ভাইটাকে কবে ফেরৎ পাবো। আমার ভাইয়ের ছেলে শ্রাবন বুঝ হবার পর থেকে বাবাকে খুঁজছে। কেন তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছেনা। তাদের নিয়ে কি নতুন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা খুব আশা নিয়ে আছি ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাবার পর তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিবে।
এআর