৫ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজনের লাশ 

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

লালমনিরহাট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার শহীদ সুজনের লাশ ৫ মাস ২৩ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের স্বার্থে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাফায়াত আক্তার নুর এর উপস্থিতিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশটি উত্তোলন করা হয়।

শহীদ সুজন উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও রিজিয়া বেগম দম্পত্তির একমাত্র ছেলে।

[242821]

জানা গেছে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে বাড়ি ছেড়ে ঢাকার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করত সুজন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর নতুন স্বাধীনতা পাওয়ার উল্লাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে যোগ দিয়ে আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। পরে সহযোদ্ধারা তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে গেলেও হাসপাতালে পৌচ্ছানোর আগেই সে মৃত্যু বরণ করে। তার পরের দিন সুজন হোসেনের মৃত দেহ গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে তার নিজ গ্রাামে নেওয়া হয়। সন্তানের মৃত্যুর খবরে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়ে। পুরো এলাকা জুড়ে শুরু হয় শোকের মাতম। ঐ দিন বাদ আসর তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে সুজনের বাবা বাদী হয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন সহ ১২৮ জনকে আসামী করে ঢাকা আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলা তদন্তের জন্য সুজনের লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

সুজনের শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচজনের অভাবী সংসারের হাল ধরেছিল একমাত্র ছেলে সুজন। কিন্তু পুলিশের গুলিতে সেই ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর সংসারের চাকা পুরোপুরি থেমে গেছে। অসচ্ছল পরিবারটির পাশে এখন পর্যন্ত নামমাত্র সহযোগীতা ছাড়া তেমন কোন ব্যক্তি বা দল দাঁড়ায় নাই। এমতাবস্থায় পরিবারটির জন্য সমাজের সজ্জন ব্যক্তি ও সরকারি সহায়তার বিশেষ প্রয়োজন।

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজনের লাশ বিজ্ঞ আদালতের আদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে উত্তোলন করে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হলো।

এসআই