পিরোজপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুসাব্বির মাহমুদ সানির বিরুদ্ধে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে হামলা, ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ (২২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ তাকে কাপুড়িয়া পট্টি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মুসাব্বির মাহমুদ সানির নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল পিরোজপুর পৌরসভার কাছে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সাইটে হামলা চালায়। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা কর্মচারীদের থাকার ঘরে ভাঙচুর করে। অফিস কক্ষে থাকা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ও হার্ডডিস্ক ভেঙে ফেলে।
ভুক্তভোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় মুসাব্বির মাহমুদ সানির বিরুদ্ধে ভাঙচুর, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে, সানি এর আগে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।
এদিকে, পিরোজপুর ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাহরিয়ার আমিন সাগর দাবি করেছেন, ‘মুসাব্বির সানি কখনোই পিরোজপুরের সমন্বয়ক ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। তিনি মডেল মসজিদ ও টোল প্লাজায় গিয়েছিলেন, যা সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে।’
[246406]
আরও এক ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুঈন উদ্দিন বলেন, ‘সানি মডেল মসজিদে বাধা দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে এবং টোলে আগুন দিয়ে সেখানে তার অনুসারীদের বসিয়েছে।’
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসমা মিতু তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান, ‘মুসাব্বির সানি সাধারণ ছাত্রদের নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। নাগরিক কমিটির নাম ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন নেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পিরোজপুরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার সঙ্গে সাধারণ ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
অভিযুক্ত সানি দাবি করেন, ‘অবৈধভাবে মডেল মসজিদের কাজ চলছিল। এজন্য বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বের করা মিছিল থেকে হামলা করেছে। এর সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া চাঁদার দাবীর অভিযোগটিও অস্বীকার করেন।
পিরোজপুর সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সোবাহান বলেন, ‘সানি সহ তার আরও কিছু লোকজন গতকাল পিরোজপুরের মডেল মসজিদে গিয়ে চাঁদা চেয়েছে এবং সেখানে ভাঙচুরসহ টাকাও নিয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে আজকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এআর