ঢাকা: পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বান্ধবী অবান্তিকা বড়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে নেওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন তার তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
সকালে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করে।
এর আগে বাংলাদেশের পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) অর্থাৎ ইন্টারপোলের ঢাকা শাখার অনুরোধে ইন্টারপোল এ রেড নোটিশ জারি করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ পুলিশের ইন্টারপোল শাখা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও সাপোর্টিং এলিমেন্টস সহকারে ইন্টারপোল সদর দফতরে আবেদনটি পাঠায়। ইন্টারপোলের একটি বিশেষ কমিটি আবেদন ও এর সাথে সংযুক্ত ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আবেদনটি অনুমোদন করে।
উল্লেখ্য, গত বছর দুদক অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি দুদক অজ্ঞাত সূত্র থেকে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারী অর্থপাচার মামলায় পিকে হালদার ও তার পরিবারের ৮ সদস্যসহ পিপলস লিজিংয়ের ১২ জনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ রাখার আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকে।
বিদেশে পলাতক পিকে হালদারের একাধিক বান্ধবীর নামে ৭০-৮০ টি অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচ