ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার মহাপরিচালক (এডিটিং কাউন্সিল) মোস্তফা স্যোউয়াগসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আইনগত বিষয়ে শুনানি হয়েছে। এরপর মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন বিচারক।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়।
এদিন আদালত জানতে চান, বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এই দেশে মামলা চলতে পারে কি না? জবাবে আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, আমরা দণ্ডবিধির ৩ ও ৪ ধারা ব্যাখ্যা করে বলেছি, এই মামলা বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে চলতে পারে।
দণ্ডবিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন বলে বিচার যোগ্য যে কোনো অপরাধের বিচার দেশের বাহিরে হলেও তা দেশীয় আইনে করা যাবে। আর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিককেও এই আইনের আওতায় বিচার করা যাবে।
এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলা আমলে গ্রহণের ক্ষমতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, আদালত আমাদের ব্যাখ্যা ইতিবাচভাবে নিয়েছেন। আশা করছি, আদালত ব্যাখ্যা গ্রহণ করে মামলা গ্রহণ করবেন। শুনানি শেষে মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন বিচারক।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি মশিউর মালেক মামলা করেন। আদালত পরদিন আদেশের জন্য রাখেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি পিছিয়ে আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, ইন্ডিপেডেন্ট ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের সম্পাদক তাসনিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যান।
মশিউর মালেক বলেন, ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে আল জাজিরা। অবৈধভাবে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
সোনালীনিউজ/এমএইচ