ঢাকা : দেশের জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের টাইম স্কেল কর্তন করে ফেরত প্রদানের আদেশটি মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) এ বিষয়ে এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ঢাকার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন শিক্ষকদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
আরো পড়ুন : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির বিষয়ে যা বললেন শিক্ষা উপমন্ত্রী
আদেশের পর আদালত থেকে বেরিয়ে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ আগস্ট জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি দায়ের করেন কিশোরগঞ্জের আব্দুল খালেক ও ছাবিনা ইসায়মিন সহ ৪ জন শিক্ষক। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি টাইমস্কেল নিয়ে দায়ের করা একটি রিটের রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট। রায়ে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং তাদেরকে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা বলা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সারাদেশের ২০১৩ খিষ্টাব্দ থেকে ২৬ হাজার ১ শত ৯৩ টি স্কুল জাতীয়করণ করা হয়েছে। জাতীয়করণ হওয়ার পরে চাকুরীতে শর্তাবলি অনুযায়ী ২০১৩ এর ২ এর (খ) এর ৯ এ তাদের টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেট কার্যকর করা হয়। চাকরির সময় গনণা করে দেয়া হয় তাদের পূর্বের চাকরির ৫০ শতাংশ গনণা করে। সেই আঙ্গিকে প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষক টাইমস্কেল পেয়েছেন।
ইতোমধ্যে টাইম স্কেল পেয়ে অনেকে অবসরে ও মারা গেছেন। কিন্তু ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ আগস্ট জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ