ঢাকা : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণ আক্তারের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি আবারও পিছিয়েছে।
শুনানির জন্য আগামী সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে নিপুণের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জায়েদের পক্ষে আংশিক শুনানি হলেও পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজ আর শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে জারি করা রুলের প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তারও আগে গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের একই বেঞ্চে রুলের ওপর শুনানি করতে গেলে এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত। আজ ফের রুল শুনানি পেছানো হলো।
আরও পড়ুন
জায়েদ-নিপুণের পদের ওপর স্থিতাবস্থা বহাল
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়।
এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠকে শেষে বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।
নিপুণের এই বিজয়কে মেনে নিতে নারাজ জায়েদ খান উল্টো দাবি করেছেন, আপিল বোর্ডই অবৈধ। তাই তিনি আইনী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে আসেন। এমনকি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যাননি গত দুই মেয়াদের এই সাধারণ সম্পাদক।
এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করে আপিল বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের জানাতে বলা হয়।
এর পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
নিপুণের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের আদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে ওই দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন। এই সময় পর্যন্ত এই পদের (স্ট্যাটাসকো) কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
সোনালীনিউজ/এমটিআই