ঢাকা : রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখা সরকারের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
বুধবার (৩০ মার্চ) রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সংক্রান্ত রিটটি শুনানির জন্য উত্থাপিত হলে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
এ বিষয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ের রিট আবেদনটি আজ হাইকোর্টে উপস্থাপন করেছিলাম। তখন আদালত বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও বন্ধ রাখার বিষয়টি সরকারের পলিসিগত বিষয়। এ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করব না।
এ সময় আমি আদালতে বলেছি, মাই লর্ড সরকারের ছেলে-মেয়েরা তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে না, আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে। আর আমরাই ভুক্তভোগী হই। পরে আদালত রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। আগামীকাল (৩১ মার্চ) রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে বলে আশা করছি।
এর আগে ২৭ মার্চ পবিত্র রমজান মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। এতে বিবাদী করা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে।
রিটে পবিত্র রমজান মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রমজান মাসে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে বিবাদীদের প্রতি রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সীমাহীন গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা অবৈধ। এর আগে সবসময় পবিত্র রমজান মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই এই অবস্থায় স্কুল খোলা না রাখার নির্দেশনা চাইছি। যেহেতু রমজান মাসে শিক্ষকরা রোজা রেখে ক্লাসে লেখাপড়া শেখানোর বিষয়ে মনোযোগী থাকে না এবং যেহেতু করোনার প্রকোপ এখনো যায়নি, এ কারণে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা চাই।
সোনালীনিউজ/এনএন