ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এদিন তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে প্রিসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
[220456]
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানান।
গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
[220453]
চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. আব্দুল মাজেদ ঢাকা-১ প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
এ মামলায় অন্যরা হলেন- বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক মেজর মান্নানের মেয়ে তানজিলা মান্নান, বিআইএফসির সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার এস, এম মোস্তাফিজুর রহমানও আসামি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে।
এ ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদ আসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।
আইএ