গোলাপ, শাকিল ও রুপা রিমান্ডে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর আদাবর থানার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

একই মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন এ আদেশ দেন।

গত রোববার রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে গোলাপকে আটক করা হয়। এরপর আদাবর থানা এলাকায় পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়। গত ২২ আগস্ট পোশাকশ্রমিক রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলাটি করেন।

[230592]

অন্যদিকে গত ২২ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানার ফজলুল করিম হত্যা মামলায় রুপা ও শাকিলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ তাদের আদালতে হাজির করে আবার রিমান্ড আবেদন করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, নায়ক ফেরদৌস, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

গত ২১ আগস্ট সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশ যাওয়ার সময় শাকিল ও রুপাকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এআর