আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ডিবির আরাফাত ৩ দিনের রিমান্ডে

  • সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম

ঢাকা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের মরদেহ ভ্যানে স্তূপ করা ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে শুক্রবার আরাফাত হোসেনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে আত্মগোপনে থাকা আরাফাত হোসেনকে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকা থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-৪। গ্রেপ্তারকৃত আরাফাতের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। প্রায় দুবছর আগে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন তিনি। তবে এর আগে তিনি আশুলিয়া থানায় এসআই পদে চাকুরী করেছেন।

[231944]

পুলিশ জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর ৩২৬ ধারায় আরাফাতের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন রবিউল সানি নামের এক ব্যক্তি। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ১০ নম্বর আসামি আরাফাত। সেই হত্যাচেষ্টা মামলায় আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

একই ঘটনায় অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের পাঁচদিনের রিমান্ডের নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে কাফিকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট ধারণ করা একটি ভিডিও ৩০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে লাশের স্তূপ করেন। ভিডিওতে পুলিশের ভেস্ট আর হেলমেট পরা যাদের দেখা গেছে, তাদের একজন ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে আত্মগোপনে চলে যান আরাফাত।

এমটিআই