পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর ও মাজহারুল রিমান্ডে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম

ঢাকা: ঢাকার নিউ মার্কেট ও যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় ডিএমপির লালবাগ জোনের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মশিউর রহমানকে সাত দিন এবং মাজহারুল ইসলামের পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।

নিউ মার্কেট থানায় করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় মশিউরকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির রমনা জোনের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ।

তার রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন প্রসিকিউসনের আদালত পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চান। শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেন পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

অপরদিকে সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে লর্ড হার্ডিঞ্জ ফাযিল মাদরাসার ছাত্র আরিফ হত্যা মামলায়। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মৃগাংক শেখর তালুকদার মাজহারুলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আইনজীবী মতিউর রহমান রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম তাহমিনা হক তার পাঁচ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।

[232456]

নিজেকে নির্দোষ দাবি মশিউরের
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৫টায় নিউ মার্কেটের ১ নম্বর গেইটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ।

ওই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয় নিউ মার্কেট থানায়। নিহত ব্যবসায়ীর ভাগ্নি জামাই আব্দুর রহমান গত ২১ অগাস্ট এ মামলা করেন।

মামলাটিতে সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

শুক্রবার এ মামলায় পুলিশের লালবাগ জোনের সাবেক ডিসি মশিউর রহমানে রিমান্ড চাইলে আদালতে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, এজাহারে মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। দেশে কোথাও কোনো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে পুলিশের কাজ সেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটা পুলিশের কনস্টিটিউশনাল ডিউটি।

“আন্দোলনের সময় যারা নিহত হয়েছেন, আমরাও তাদের জন্য মর্মাহত। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ শুনতে বাধ্য। যদি আমি কোনো দোষ করে থাকি সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়।”

আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাবেক ডিসি মশিউর বলেন, ঢাকায় পুলিশের ১০ জন ডিসি আছেন। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা বা সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার দায়িত্ব পুলিশ পালন করে। এসব বিষয়ে আমরা মাঠে কাজ করি না।

আমি ডিবি পুলিশের ডিসি মেধা দিয়ে হয়েছি। আমি কোটা দিয়ে এই জায়গায় আসিনি। এজন্য শুরু থেকেই আমি কোটার বিরোধী ছিলাম। এমনকি এ বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দিনে অন্তত পাঁচবার আমার বিতর্ক হত। আমি কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো সহিংসতার সঙ্গে কখনোই জড়িত হইনি।

এআর