ভোটের সাড়ে তিন বছর পর শাহাদাতকে চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণার রায়

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৪, ০২:১১ পিএম

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর এক রায়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছে চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন এই রায় দেন।

ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছিলেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।

রায়ের বিষয়ে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, শাহাদাত হোসেনের করা মামলার রায়ে তাকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে।

[233328]

রায় ঘোষণার পর ডা. শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে নির্বাচন কমিশন সচিবকে আদেশ দেওয়া হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করে আমাকে মেয়র পদে আসীন করার জন্য।

অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে অপসারণ করেছে। ১৯ অগাস্ট তার জায়গায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার।

মঙ্গলবারের এই রায়ের পর মেয়র পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কীভাবে হবে জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, যিনি মেয়র ছিলেন তাকে অপসারণ করা হয়েছে গত অগাস্ট মাসে। আর ট্রাইব্যুনালের রায় হয়েছে আজ।

আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়টি পেলে এ বিষয়ে কি নির্দেশনা আছে তা আমরা জানতে পারব। তবে রায়ের যেটুকু জানি, তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট করে ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র পদে আসীন করাতে হবে।

[233325]

২০২১ সালে হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শাহাদাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির নগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।

এরপর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা শাহাদাত ৯ জনকে বিবাদি করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। সেখানে বলা হয়, রেজাউল করিম নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচনের নামে ওইদিন শুধু ‘আনুষ্ঠানিকতা’ হয়েছে।

যে কারণে নির্বাচনে ভোটের হিসাব চেয়ে পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয় ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হওয়া ওই নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে করা মামলায় রেজাউল করিম চৌধুরী, তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, সেসময়ের নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং ওই ভোটের অন্য মেয়রপ্রার্থীসহ মোট নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

এমটিআই