নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য শিউলি বেগম নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ হত্যার দায়ে স্বামী শাহাজামালকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম অভিযুক্তের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহাজামাল গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর বাবলাতলা গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে।
[235839]
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি অ্যাড. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, শাহাজামাল ও শিউলি বেগম নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শাহাজামাল ও তার বাবা-মা ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে শিউলির ওপর নির্যাতন শুরু করেন। পরে শিউলির বাবা ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৫ হাজার টাকার জন্য আবারও নির্যাতন করতে থাকেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি মধ্যরাতে স্বামী শাহাজামাল ও তার বাবা-মা মিলে নির্যাতন করে গৃহবধূ শিউলী বেগমকে শ্বাসরোধ করেন। হত্যার পর মরদেহ বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যান তারা। পরের দিন সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
অ্যাড. আব্দুল কাদের আরও জানান, এ ঘটনায় শিউলী বেগমের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহাজামাল ও তার বাবা-মাকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত শাহজামালকে গ্রেপ্তার করে এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ ১৩ বছর মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে অভিযুক্তের উপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। রায়ে জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এসএস