ঢাকা: চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার লালদিঘী এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম আলিফ। তিনি আদালতের শিক্ষানবীশ আইনজীবী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন।
এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। এছাড়া চট্টগ্রাম আদালতে বিচারকার্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ইসকনের সংঘাতকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্র চলছে।
[238199]
অন্যদিকে আইনজীবী নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। এসময় সংঘর্ষে আহত হন সাইফুল ইসলাম, শ্রীবাস দাশ, শারকু দাশ, ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল ও এনামুল হকসহ আরও বেশ কয়েকজন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বিক্ষোভ করে তার সমর্থকরা। তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত সনাতনীরা আদালত চত্বরে প্রায় তিনঘণ্টা পুলিশের প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নেন। এর মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অনুপস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) হুমায়ুন করীর বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের হামলায় এক আইনজীবী নিহতের খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।’
আইএ