মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

ঢাকা: বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিনেত্রী ও মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি রাজিক আল জলিলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইনজীবী জাহেদ ইকবাল।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল অভিনেত্রী ও মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে রাখার আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন মডেল মেঘনা আলম। সেই সঙ্গে মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামে অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তিনি।

গত ৯ এপ্রিল থেকে মেঘনা আলমকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। ওই দিন রাতে তাকে ঢাকার বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে ডিবি। পরে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

[247523]

আদেশে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২(এফ) ধারায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মেঘনা আলমকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, ফেসবুক লাইভে থাকার সময় মেঘনা অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিচয়ধারীরা তার বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। লাইভটি প্রায় ১২ মিনিট চলার পর বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে সেটি ডিলিটও হয়ে যায়।

এদিকে মডেল মেঘনা আলমের বাবা বদরুল আলম অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’

বদরুল আলম বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।

তিনি বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা-যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। 

এআর

AddThis Website Tools