ঢাকা: বিতর্কিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলমের সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস এবং অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম সারোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া দুদকের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের ইভিপি মো. শামসুদ্দোহা, মীর রহমত উল্লাহ, এসইভিপি আবু সাঈদ মো. ইদ্রিস হাজির হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে সংস্থাটির উপপরিচালক আবু সাঈদের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এছাড়া, এদিন ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তারা হলেন- ব্যাংকটির পর্যবেক্ষক ও পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা চৌধুরী ও ডিএমডি কাজী মো. রেজাউল করিম।
এর আগে একই অভিযোগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ১৭ ফেব্রুয়ারি সই করা তলবি চিঠি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়। তলবি চিঠিতে দুদকে হাজির হওয়ার সময় উল্লিখিত কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র, টিআইএন ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
[244320]
চিঠির সূত্রে জানা যায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে মোনিকো ফার্মা লিমিটেডের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকা ঋণসংক্রান্ত অনিয়মের তথ্য রয়েছে।
দুদক থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে এরইমধ্যে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এস আলমের ছেলে ও ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাকতাই শাখা থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা লুটপাটে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জন, চট্টগ্রামের জুবিলী রোড শাখা থেকে প্রায় এক হাজার ১১৪ কোটি টাকা লুটপাটে গত ৯ জানুয়ারি এবং গত ২৮ জানুয়ারি ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিকের সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম এবং সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসের মালিক আরিফুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক।
গত ২১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম বা এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর বিভিন্ন সময় ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
এআর