ঢাকা: ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারে বছরের শেষের দিকে এসে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও ২০২০-এ বছরজুড়ে বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে ২৬ হাজারেরও বেশি।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ওয়েবাসাইটে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বিও হিসাব পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে সিডিবিএল এর তালিকাভূক্ত বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিলো ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩০১ জন। যা ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৫২ হাজার ২৩৪ জনে। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বিও হিসাবধারীর সংখ্যা কমলো ২৬ হাজার ৬৭ জন।
বাৎসরিক নবায়ন মাশুল দিয়ে হালনাগাদ না করায় বিও হিসাবের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের মতে, যেসব হিসাবধারীরা বছর শেষে মাশুল দিয়ে হিসাবগুলো সচল রাখার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় না তাদের হিসাব ক্লোজ করে দেয়া হয়।
সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ২৫ লাখ ৫২ হাজার ২৩৪ জন বিও হিসাবধারীর মধ্যে দেশি হিসাবধারী ২৩ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন এবং প্রবাসী হিসাবধারী ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫৯ জন।
অন্যদিকে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩০১ জন বিও হিসাবধারীর মধ্যে দেশি হিসাবধারী ছিলো ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৬২৮ জন এবং প্রবাসী হিসাবধারী ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৩ জন।
৩০ ডিসেম্বর’ ২০২০-এ ব্যাক্তি শ্রেণীর বিও হিসাবধরীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৫২ জন। এবং যৌথ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ জনে।
তবে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ব্যাক্তি শ্রেণীর বিও হিসাবধরী ছিলো ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৩ জন। এবং যৌথ বিও হিসাবধারী ছিলো ৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৮ জন।
এদিকে, ৩০ ডিসেম্বর’ ২০২০-এ পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ২০ জনে। যেখানে নারী হিসাবধারীর সংখ্যা ৬ লাখ ৬০ হাজার ৩৭৯ জন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পুরুষ হিসাবধারীর সংখ্যা ছিলো ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৭ জন। এবং নারী হিসাবধারী ছিলো ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৪ জন।
প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজারে লেনদেনের জন্য ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে ব্রোকারেজ হাউসে একটি করে হিসাব খুলতে হয়। শেয়ারবাজারে এটি বিও হিসাব নামেই পরিচিত। একজন বিনিয়োগকারী নিজ নামে ও যৌথভাবে সর্বোচ্চ দুটি হিসাব খুলতে পারেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচ