ঢাকা : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা যদি সবাই টিকা নিয়ে নেই, তাহলে কারও মধ্যে ছড়াতে পারবে না। সেজন্য আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, মেহেরবানি করে টিকা নেবেন। সবাই টিকা নিয়ে নেন। সব দেশেই টিকা নিচ্ছে। সারাবিশ্ব টিকা নিচ্ছে, আমরা নেব না কেন?
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পাশাপাশি চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধি সংশোধন আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সবাইকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক। বৈঠক শেষে চাল আমদানির বিষয়গুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি হবে। ওই প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে নিয়ে আসবে। আইনি সক্ষমতার কিছু ঘাটতি ছিল। সেখানে বলা আছে যে টেন্ডারের বাইরে কম সময় দিয়ে কোনো জিনিস কিনতে পারব না। এটা ছিল অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে, এটা আসবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানিতে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) তাদের বিধিতে সংশোধনী আনতে বলেছি। বিধিতে সংশোধনী আসলে আমরা এই কাজটি করতে পারব।
মুস্তফা কামাল বলেন, আইএমইডি আমাদের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধি সময় সংক্রান্ত বিষয়টি সংশোধন করবে। অন্যকিছু না। অন্য কোনো জিনিস আমরা স্পর্শ করিনি। আন্তর্জাতিক টেন্ডার করার পরে ৪০ থেকে ৪২ দিন অপেক্ষা করার কথা বলা ছিল। কিন্তু কিছু পণ্য আছে যেমন পেঁয়াজ, চাল, তেল এ জাতীয় জিনিস আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই বাড়ে কমে। সেখানে এত লম্বা সময় কোনো টেন্ডার অপেক্ষা করে না। প্রাইস অ্যাকটিভ রাখার জন্য যে সময়টা যথাযথ মনে করি তা হচ্ছে ম্যাক্সিমাম ওয়ান উইক (কমপক্ষে এক সপ্তাহ)। উইদিন দিস টাইম (এই সময়ের মধ্যে) তারা প্রাইস জানাবে। আমরা আমাদের দিক থেকে প্রকিউরমেন্টের যেসব নিয়মকানুন আছে সেগুলো ফলো করব। এলসি খুলব, আরও যা যা করার দরকার সেগুলো করব। যাতে তারা যেন এগুলো দেখে হাতে নিয়ে তারপর শিপমেন্ট করতে পারে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ