ঢাকা : প্রিমিয়ার লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সের এমডি আব্দুল হালিম মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা এ এস এম শফিকুল ইসলাম মানিক। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠানো এক চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি আব্দুল হামিদ মিয়া বিভিন্ন ভুয়া লোক সাজিয়ে, ভুয়া দলিলের মাধ্যমে লোন দিয়ে আর্থিক আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এই দুর্নীতি-অনিয়ম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন এবং অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়ার চেষ্টা করছেন।
আব্দুল হামিদ মিয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার ব্যবস্থাপনা বিভাগের জি এম শাহ আলমকে প্রতি মাসে টাকা দিয়ে এ সব অপকর্ম করেন। তিনি বিভিন্ন কোম্পানিকে লোন দিয়ে লোনের কিস্তি না নিয়ে সুবিধা দিয়ে নগদ অনৈতিক ভাবে টাকা নিয়ে থাকেন। অনেক ব্যক্তি বা কোম্পানির লোকদের ২৫ শতাংশ কমিশন দিয়ে লোন নিতে হয়েছে। যেমন ওয়েস্টার্ন মেরিন, ডেল্টা মিলার্স, এস এ গ্রুপ, বিশ্বাস টেক্সটাইল, এ্যাডভাস, মেজর এম এ মান্নান ও অন্যান্য আরো অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি। যে সকল কোম্পানিকে বা ব্যক্তিকে লোন দেয়া হয়েছে এই লোনগুলো কিভাবে দেয়া হয়েছে সঠিক তদন্ত করলে আব্দুল হামিদ মিয়ার দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে।
এম আবদুল হালিম মিয়া বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। কোম্পানির এমডির এ দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কোম্পানির অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রতি তিনমাস পর পর পরিদর্শনের আসলে তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে এবং এমডি পরিদর্শন টিমকে হুমকি দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন এ উদ্যোক্তা।
এবিষয়ে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এলোনগুলো ২০১৬ সালের আগেই স্যাংশন হয়েছে হয়েছিল।
চেয়ারম্যান বরাবর অব্যাহতির আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কয়েকটি ব্যাংক থেকে চাকরি অফার পেয়েছি। সেখানে যোগদানের জন্য একজন চাকরিজীবি হিসেবে আবেদন করেছি। তবে এখনও আমি প্রিমিয়ার লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডে আছি। তবে আপনি যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলছেন তারা আমাদের গুড ক্লাইন্ট।
সোনালীনিউজ/আরএইচ