ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত লুব-রেফ বাংলাদেশের লেনদেন ৪০ টাকা ৫০ পয়সায় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) কোম্পানিটির লেনদেন শুরুর দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত লুব-রেফের ডিএসই ও সিএসইতে ট্রেডিং কোড 'LRBDL'।
লেনদেন শুরুর আড়াই ঘণ্টায় ৪ বারে কোম্পানিটির ২২১টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১০ হাজার টাকার বেশি।
গত ৪ মার্চ কোম্পানিটির লটারিতে বিজয়ীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে আইপিও শেয়ার জমা করা হয়েছে। আর ২৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর শেয়ার ইস্যু করে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন পায় কোম্পানিটি। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭৪৯তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেডের আইপিও বরাদ্দকৃত ২ কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার পেতে ১৪ লাখ ১ হাজার ৩৬১ আবেদন জমা পড়েছে। এই পরিমাণ আবেদন শেয়ারবাজারের জন্য নতুন রেকর্ড। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠানটির। ২ কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার ২৭ টাকা দরে বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬১ কোটি ৭ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। কোম্পানি শেয়ার পেতে ১৪ লাখ আবেদনের জন্য মোট ৭৫৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা জমা পড়েছে।
২৭ টাকা মূল্যের শেয়ার পেতে তিন ক্যাটাগরির সাধারণ বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বরাদ্দ করা আইপিওর শেয়ার পেতে ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৬ জন দেশি সাধারণ বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন। যা টাকার অংকে দাঁড়ায় ৬৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় ১৬ গুণ বেশি আবেদন। একই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়ে ৯৯ হাজার ৫৭৪টি। তাদের অর্থের পরিমাণ ৫৩ কোটি ৭৭ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় ৫ দশমিক ৫০ গুণ বেশি।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।
২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৫৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করে লুব-রেফ ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৮ নভেম্বর ব্যবসার অনুমোদন পাওয়া বিএনও লুব্রিকেন্টসের কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পণ্য হচ্ছে- ইঞ্জিন অয়েল, গিয়ার লুব্রিকেন্ট, হাইড্রলিক অয়েল, ট্রান্সফর্মার অয়েল ও গ্রিজ।
সোনালীনিউজ/এমএইচ