পরিবেশের ক্ষতি না করা সেরা ৭টি গার্মেন্টসই বাংলাদেশে

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২১, ০৮:০০ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা : পরিবেশের ক্ষতি না করে যেসব গার্মেন্টস বিশ্বে অবদান রাখছে তার সেরা ১০টার মধ্যে ৭টাই বাংলাদেশের, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের আয়োজনে ‌‌'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২১' শীর্ষক ২ (দুই) দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিএসইসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমরা মোটামুটি সবাই জানি কিভাবে বাংলাদেশ বিশ্ববাজার সম্ভাবনার ছোঁয়া দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই এতোকিছু সম্ভব হচ্ছে। ‘আমাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের যে চাহিদা তা এখন অনেকাংশেই পূরণ হচ্ছে। আমরা এখন প্রচুর পরিমাণের পোষাক রপ্তানি করে থাকি। তাছাড়া কিছু কিছু খাদ্যও আমরা রপ্তানি করছি।

‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এখন গ্রিন বন্ডের প্রচারণা চালাচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে ব্লু বন্ডও। আমাদের এখন জানতে হবে কিভাবে আরো ভালোভাবে, সহজভাবে অর্থের জোগান দেওয়া যায়। তাছাড়া স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যান্যখাতে কিভাবে আরো ভালো করা যায় তাও ভাবতে হবে।’

আমাদের আরো বেশি বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট দরকার, আরো বেশি যোগাযোগ দরকার, আরো বেশি শুভাকাঙ্ক্ষী দরকার। আমাদের এখন অনেক গবেষণার দরকার আছে। উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের অর্থনীতি অনেকটাই ভিন্ন। আমাদের গ্লোবাল অবস্থান অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি, যোগ করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

এ সময় গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে অবিশ্বাস্য কাজ করছে। ব্যাংক, পুঁজিবাজারসহ অন্যান্য ব্যক্তি অর্থায়নেও ভালো করছে বাংলাদেশ।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ফ্রাঙ্ক রিজবারম্যান, ড.মোহাম্মদ আব্দুল মঈন এবং মফিজ উদ্দিন আহমেদ। এর সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. মাহমুদা আক্তার।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ