ঢাকা: বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিলামে শেয়ারের কাট অব প্রাইস বা প্রান্তসীমা ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে কোম্পানিটি।
বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সর্বশেষ সভায় কোম্পানিটির আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ কমে কোম্পানির শেয়ার পেতে আবেদন করবেন।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কোম্পানির বিডিং অর্থাৎ নিলামের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। এই বিডিং অর্থাৎ নিলামে মোট ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। নিলামে শেয়ারের কাট অব প্রাইস বা প্রান্তসীমা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
পুঁজিবাজারে থেকে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটির সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওখাতে ব্যয়ে ব্যবহার করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটি বিডিংয়ে বিডারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ এবং সর্বনিন্ম ১৩ টাকা দর প্রস্তাব করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। যা তাদের বরাদ্দের চেয়ে ৪৭৭ শতাংশ বেশি।
বারাকা পতেঙ্গার ১৮৩ জন বিডার ৩২ টাকা দরে বিডিং করেছেন। এর চেয়ে ১ টাকা কম দরে অর্থাৎ ৩১ টাকা দর প্রস্তাব করেছেন ২২ জন। অপরদিকে সর্বনিন্ম ১৩ টাকা দর প্রস্তাব করেছেন একটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী।
এ লক্ষ্যে গত ৫ জানুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। আর বিগত পাঁচ আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা।
২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
সোনালীনিউজ/আরএইচ