ঢাকা : আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্যের যৌক্তিক খুচরা দাম নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। দাম বেঁধে দেওয়া পণ্যগুলো হলো-ছোলা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুর। নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলো। গতকাল সোমবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে পণ্যের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। চাহিদার বিপরীতে দেশের উৎপাদন, আমদানির পরিমাণ ও মূল্য বিবেচনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাজার মনিটরিংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ মাঠে থাকবে তিন মন্ত্রণালয় ও তিনটি সেবা প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে রোজার বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
ঢাকায় ২৮টি মনিটরিং দলও কাজ করবে। নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭-৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি হবে এবং চিনির খুচরামূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা। সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না।
এর আগে রাজধানীর খামারবাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আসন্ন রমজানে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। সবাই মিলে আমরা মনিটরিং করে যে দামটা নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে যাতে বিক্রি করা হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো ঢাকা শহরে ৩০টির ওপরে মোবাইল টিম কাজ করেছে। যদি আমরা দেখতে পাই, কোনো অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করে সে ক্ষেত্রে আমরা মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করব।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রায় ৮০ হাজার টন ছোলা, তিন লাখ টন পেঁয়াজ, দুই লাখ টন ভোজ্যতেল, ৮০ হাজার টন মসুর ডাল, এক লাখ ৩৬ হাজার টন চিনি ও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই