ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী ‘শাটডাউন’ দিতে যাচ্ছে সরকার।যে কোনো মূল্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুতই শাটডাউনের প্রজ্ঞাপন আসছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
শুক্রবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন হয়ে এলেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন বাস্তবায়ন হলে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কঠোরভাবে মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কাউকে বের হতে দেওয়া হবে না।
তবে শাটডাউন দেয়া হলেও নতুন নির্দেশনায় ব্যাংকিং কার্যক্রম খোলা রাখার ইঙ্গিত মিলেছে।
করোনার পর এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সীমিত করা হয়েছে।গত বছর করোনা সংক্রমণের পর ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি আর ৫ এপ্রিল থেকে চলমান বিধিনিষেধেও বন্ধ না থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন আলোচনা শাটডাউনে সীমিত পরিসরে হলেও খোলা রাখা হবে।
ব্যাংককে সাধারণত জরুরি সেবা হিসেবেই ধরা হয়। তাই কঠোর শাটডাউনেও প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে কি না, এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাদেশে যদি শাটডাউন হয়, তাহলে ব্যাংকিং কার্যক্রমের বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে করোনার পর এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সীমিত করা হয়েছে। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে সমন্বয় করেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘জরুরি সেবার আওতায় ব্যাংক খোলা থাকলে সেটা কি চলতি নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে নাকি আবার নতুন করে নির্দেশনা জারি হবে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ লকডাউন দেয়ার পরও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকে। আর ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন দেয়ার পর প্রথমে ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত জানালেও পরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্টো ব্যাংকের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়।
তখন থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে থাকলে ব্যাংকে লেনদেনের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে প্রায় স্বাভাবিক সময়ে নিয়ে আসা হয়।
করোনার আগে ব্যাংকে লেনদেন চলত সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এখন চলে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলার পরিপ্রেক্ষিতে বিধিনিষেধ আবার কঠোর করে যে কোনো সময় ‘শাটডাউন’ ঘোষণার কথা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার।
এই ঘোষণার পরই শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি শুরু হয়ে যাওয়া এবং পরদিন শনিবারও সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে সরকার আসলে কী ভাবছে, তা নিয়ে স্পষ্ট হওয়া যাবে রোববার।
সোনালীনিউজ/আইএ